সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ; প্রথম বাঙালি, যিনি উপমহাদেশের রাগসঙ্গীতকে সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যে পরিচিতি ও প্রচার করেন। তার ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তবে, এতটা সময়েও; প্রখ্যাত এ সঙ্গীতজ্ঞের স্মৃতিরক্ষায় জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নেয়া হয়নি তেমন পদক্ষেপ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুর গ্রামে এক সংগীত পরিবারে জন্ম আলাউদ্দিন খাঁ’র। সুর ও সঙ্গীতকে ভালবেসে ঘর ছাড়েন ৮ বছরের বয়সে। বাংলার পথে পথে ঘুরে আহরণ করেন লোকসুর। পরে কলকাতার গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
সৃষ্টি করেন হেমন্ত, দুর্গেশ্বরী, মেঘবাহার, প্রভাতকেলিসহ অনেক রাগরাগিনী। সেতার, সানাই, বেহালা, বাঁশি, পিকলু, ম্যান্ডেলিন, ব্যাঞ্জোসহ নানা বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারদর্শী এ সঙ্গীতজ্ঞ উদ্ভাবন করেন বেশকিছু বাদ্যযন্ত্র। উপাধী পান সুর সাধকের।
স্বীকৃতিস্বরূপ সঙ্গীত একাডেমি পুরস্কার, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এবং বিশ্ব ভারতীয় প্রবর্তিত দেশিকোত্তম খেতাব পান।
কিন্তু দেখভালের অভাবে শিল্পীর স্মৃতি বিজড়িত বসত-ভিটা আজ ধ্বংসের মুখে।
১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চির বিদায় নেন, উপমহাদেশের এই মহাসঙ্গীত সাধক।